খড়দা: আতঙ্কের নাম বিটি রোড। গত বছরের জুলাইয়ে বিটি রোডের ওপর, সোদপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি। এর চার মাস পরে, ডিসেম্বরে ফের লুঠপাট বিটি রোডেরই ডানলপ মোড়ের স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায়। আর এবার বিটি রোড থেকে তিন কিলোমিটার দূরে খড়দায় বেপরোয়া দুষ্কৃতী তাণ্ডব! দুষ্কৃতীদের টার্গেট, এবারও বেসরকারি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থা!


শনিবার সকাল তখন সাড়ে নটা। খড়দা স্টেশন রোড সংলগ্ন জমজমাট অরুণাচল মোড়! সবে তখন অফিস খুলেছেন স্বর্ণ ঋণ দানকারী ২ কর্মী। তৈরি হচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী। এমন সময়েই ৩ দুষ্কৃতীর হামলা! প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ২ জন অফিসের ভিতরে ঢুকেছিল। বাইরে পাহারা দিচ্ছিল একজন। ভিতরে ঢুকেই, সংস্থার দুই কর্মীকে গান পয়েন্টে রেখে ভল্ট খোলায় দুষ্কৃতীরা! লুঠ করে সোনা ও টাকা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভিতরে যখন লুঠপাট চলছে, তখন অফিসে আসেন সংস্থার এক মহিলা গ্রাহক। বাইরে পাহারায় থাকা দুষ্কৃতী তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়। এর জেরে ধস্তাধস্তিও হয় দু’জনের। অভিযোগ, তখনই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী। চোখ ঘেষে বেরিয়ে যাওয়ায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এরপরই বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় ডাকাত দল।

এদিকে, আহত মহিলার বয়ানের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে ফারাক ধরা পড়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার অফিস বন্ধ হওয়ার সময়, স্বর্ণ দানকারী সংস্থার দুটি ভল্টে সোনা ও নগদ মিলিয়ে ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার জিনিস ছিল।

খবর পেয়েই গোয়েন্দাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র। পুলিশের অনুমান, লুঠের আগে একাধিকবার রেকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। আহত মহিলাকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।