সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর: আবারও ঘুড়ির নাইলন সুতো গলায় জড়িয়ে জখম হলেন দু'জন। আহতদের মধ্যে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে নদিয়ার শান্তিপুরে ঘুড়ির সুতোয় জখম হয়েছেন চারজন। ঘটনায় শান্তিপুর শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে প্রথম ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুরের ভদ্র কালীতলা এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর। সন্ধে প্রায় ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ সাড়ে তিন বছরের ছেলে আয়ান-কে মোটর বাইকের সামনে বসিয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডে গোপালপুরে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী শামিম শেখ। সেই সময় হঠাৎই ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে যায় ছোট্ট আয়ানের গলায়। জখম হয় সে। এরপরই তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটির গলায় চারটে সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, ওইদিনই সন্ধে প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ কৃষ্ণনগরের দিক থেকে শান্তিপুর শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাইকে চেপে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীতলা পাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন যুবক স্বরূপ ঘোষ। জাতীয় সড়কে হঠাৎই তাঁর গলায় ঘুড়ির নাইলনের সুতো জড়িয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকেও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই জেলা সদর কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর গলায় ১৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশ প্রশাসনকে এই ব্যাপারে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকেও একটি প্রচার গাড়ি বের করা হয়। পুলিশের তরফেও ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের নাইলন সুতো ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আর্জি জানানো হয়।
একমাসে নাইলন সুতোয় শান্তিপুরে আক্রান্তদের তালিকা গত ২ জুলাই মোটর বাইকে চেপে ফুলিয়া থেকে শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী শিব প্রসাদ ঘোষ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তার থুতনিতে সুতো জড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীর থুতনিতে ১৩ টি সেলাই দিয়ে হয়। এরপর ১১ জুলাই শান্তিপুর ভগবতী দাস রোডের মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে মাঠে খেলার সময় পাঁচ বছরের এক শিশুর পায়ে সুতো জড়িয়ে পা কেটে যায়। তাকে ৩ টি সেলাই দেওয়া হয়।