রঞ্জিত সাউ, সল্টলেক: ফের বোমাবাজি সল্টলেকের দত্তাবাদে। বোমা ছোড়ার পাশাপাশি এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলার চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তৃণমূলের। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের। পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের।


এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার। ফের বোমাবাজি সল্টলেকের দত্তাবাদে। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম বরের অভিযোগ, শনিবার রাত ২টো ১৫-তে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির সামনে রাখা চেয়ারও।

কিন্তু বোমাবাজি করল কারা? তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। তৃণমূলের অভিযোগ, বোমাবাজি করেছে বিজেপি নেতা ও বিধায়ক সব্যসাচী দত্তর অনুগামীরা। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল দত্তর দাবি, ‘এই ওয়ার্ডে সামনে নির্বাচন, একমাত্র এই ওয়ার্ডেই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল লিড দেয়, তাই গণ্ডগোলের চেষ্টা, সব্যসাচীর লোকজন ভোলা-সানি বোমাবাজি করেছে, এই নিয়ে তিনবার বোমাবাজি করেছে, পুলিশকে বারবার বলা সত্ত্বেও কিছু করেনি।’

এর আগে ১ নভেম্বর এই দত্তাবাদেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজি হয়। সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ভোলা ও সানি নাম দু’জনকে। এবারও তাদের বিরুদ্ধেই বোমাবাজির অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেবার ধৃতদের তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ সিং। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল টাকা দিয়ে বিজেপির নাম বলিয়েছে। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে বদলে গেল তাঁর বয়ান। এবার তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল নিজেরাই বোমাবাজি করছে। বিজেপি বোমাবাজিতে বিশ্বাস করে না। ভোলা-সানি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকেছে, তাই ওদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।’

এদিন সকালে দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা চেষ্টা চলছে।