কলকাতা: ডেঙ্গির আঁচ এবার রাজ্য বিধানসভায়! অধিবেশন কক্ষ ও বিধানসভার লনেই মশারি খাটালেন বিরোধী বিধায়করা!
বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা, ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব জমা দেন। পাশাপাশি এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাবও আনতে চায় তারা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন।
কেন তাদের না দিয়ে, মন্ত্রীকে বলার সুযোগ দেওয়া হল, তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই মশারি টাঙিয়ে ফেলা হয়। চলতে থাকে স্লোগান।
হই-হট্টগোলের মধ্যেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪১৭ জনের রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৬৩৭ জনের ডেঙ্গি পজিটিভ। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চন্দ্রিমা যখন বিবৃতি দিচ্ছেন, তখনও আলোচনার দাবিতে অনড় ছিল বাম-কংগ্রেস। অধ্যক্ষ বলেন, এ নিয়ে তিনি পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপরই ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা।
বিরোধীরা যখন হইহট্টগোল করছিল, তখন বিধানসভায় হাজির ছিলেন সরকারপক্ষের মাত্র ৮০-৯০ জন বিধায়ক। এতে ক্ষুদ্ধ সরকারপক্ষের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। সরকারপক্ষের সব বিধায়ককে এসএমএস করে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে সবাইকে সময়মতো বিধানসভায় হাজির হতে হবে।
ডেঙ্গি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন চরমে, তখন মৃত্যুও অব্যাহত। জ্বরে ভুগে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এদিন মৃত্যু হয়েছে, ধলতিথার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান গাজির। বুধবার রাতে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন, বাদুড়িয়ার বাগান আটঘড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর আঠানোর রেহেনা বিবি।
পরপর মৃত্যুতে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।