নৈহাটি: ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন সিংহ-র বিরুদ্ধে বুথে দাদাগিরির অভিযোগ। ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসা।ভোটার কার্ড খুঁটিয়ে পরীক্ষা করায় ভোটারদের দেরি হচ্ছিল। দাবি ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থীর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, সচিত্র পরিচয়পত্রে থাকা ছবির সঙ্গে ভোটারের চেহারা মিলছিল না। পাল্টা দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের।


দাপট তাঁর বেজায়! বিরোধীরা আওয়াজ করতেও ভয় পান! আর তাঁরই এলাকায় কি না প্রিসাইডিং অফিসার নিজের কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলেন! ব্যস, যা হওয়ার তাই! রেগে কাঁই উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন সিংহ। প্রকাশ্যেই বচসায় জড়ালেন প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে। নিজের মতো করে তকমাও লাগিয়ে দিলেন তাঁর গায়ে! ঘটনাস্থল, ভাটপাড়ার আদর্শ যোগেশ প্রাথমিক পাঠশালা।
ঘটনার সূত্রপাত ভোটারদের সচিত্র পরিচয় পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে। বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠায়, সব ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখার সিদ্ধান্ত নেন প্রিসাইডিং অফিসার। কিন্তু, এতেই আপত্তি তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পৌঁছতে দেরি হয়নি তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন সিংহ-র কানে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দলবল নিয়ে বুথে হাজির হন। কেন ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি! এরপরই বচসা।

কিন্তু, ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র যাচাই করা তো প্রিসাইডিং অফিসারের কর্তব্য। তা নিয়ে কেন আপত্তি তুলবেন শাসক দলের প্রার্থী? উত্তরে আজব সাফাই অর্জুন সিংহর। তাঁর জবাব, ভোটারদের দেরি হচ্ছে, প্রিসাইডিং অফিসার পাগল।

যদিও, প্রিসাইডিং অফিসারের সাফ কথা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সচিত্র পরিচয় পত্রে থাকা ছবির সঙ্গে ভোটারের চেহারার কোনও মিলই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি!

ছাপ্পা ভোট ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই অর্জুনের গোঁসা হয়েছে! দাবি বিরোধীদের।
বিরোধীদের কটাক্ষ, আদর্শ পাঠশালায় আদর্শ ভোট করাতে গিয়েছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার! কিন্তু, পেশিশক্তির সামনে কি আর আদর্শ-ভোট সম্ভব? জোর যার ভোট তাঁর।