মলয় চক্রবর্তী, দার্জিলিং: শিলিগুড়িতে ফের ল্যাবের নাম করে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের অভিযানে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ কুমার।
কিছুদিন আগে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে শিবমন্দির অঞ্চল থেকে ইন্দ্রজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন মাটিগাড়া থানার পুলিশ আধিকারিক এবং ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্যাবের প্রচুর কাগজ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, করোনার সময় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন ধৃত ইন্দ্রজিৎ। এরপর ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ঘোগোমালি চয়নপাড়া মেইন রোডে একটি ওষুধের দোকান ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। কিন্তু কয়েকমাস আগে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার চাকরি চলে যায়। এরপর থেকেই তিনি করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করেন।
শুক্রবার ধৃত ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁর পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি অবৈধ ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলেন, ল্যাবের নাম করে এভাবে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার ফলে সমস্যায় পরছেন সাধারণ মানুষ। যে কারণে তাঁদের সচেতন হওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমিত রোগীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ৫৫ বছর বয়সু ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। মঙ্গলবার তিনি ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল রিপোর্ট এলে দেখা যায়, মহিলা মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমিত। এরপর গতকাল রাতেই নিখোঁজ হয়ে যান ওই মহিলা। এ বিষয়ে হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজ মহিলার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপতালের সিসিটিভি ফুটেজ।