সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট: এবার প্রতারণার ফাঁদে তৃণমূল নেতা ও ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর। আসল স্বর্ণমুদ্রা দেখিয়ে নকল গছিয়ে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার এলাকার ঘটনা। তৃণমূল নেতা ও ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর শঙ্কর অধিকারীর দাবি, মাসখানেক আগে লাভপুরের বাসিন্দা এক যুবক তাঁকে একটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করে। অভিযোগ, এরপর আরও ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা কেনার প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। সেই অনুযায়ী, এক সঙ্গীকে নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে আসে ওই যুবক। ৯৫টি নকল স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। গতকাল রানাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।


জানা গিয়েছে, শঙ্কর অধিকারীর সঙ্গে এক মাস আগে গোপাল সর্দার নামে এক যুবকের আলাপ হয়।ওই ব্যক্তির বাড়ি বীরভূমের লাভপুরে বলে জানা গিয়েছে। আলাপ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওই যুবক একটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রির জন্য নিয়ে তাঁর কাছে আসে। প্রথমে নিতে অস্বীকার করলেও, কয়েকদিন ধরে ফোনে বলার পর বাধ্য হয়ে সেই মুদ্রাটি কিনে নেন। ওই মুদ্রাটি আসল বুঝতে পারেন সোনার দোকানে গিয়ে। পরবর্তীতে ওই যুবক ফের শঙ্কর অধিকারীর সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করে আরও ৯৫ টি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রির কথা জানান। ওই যুবকের কথায় প্ররোচিত হয়ে গত ৬ জুলাই বড় বাজারের বাড়িতে গোপাল সর্দার এবং তার সঙ্গে শ্যাম মুর্মু নামে আর এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। এরপর ওই ৯৫ টি স্বর্ণমুদ্রা ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ওই বাড়ি থেকে জেরক্স করার অছিলায় বেরিয়ে যান। এরপর সোনার দোকানে গিয়ে শঙ্কর অধিকারী জানতে পারেন সবকটি স্বর্ণমুদ্রাই নকল। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, এরপর গোপাল সর্দারকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধই রয়েছে। এরপরই থানায় অভিযোগ জানান তিনি।


শঙ্কর অধিকারীর স্ত্রী দ্বীপ্তি অধিকারী জানান, “এই সোনা কেনার কারণ দুই মেয়ে বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠেছে। ক্রয় করা স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দুই মেয়ের গয়না বানানোর কাজে লাগবে। কিন্তু এই ভাবে প্রতারিত হতে হলো যা কোনওভাবেই কল্পনা করতে পারছি না। আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।’’ অন্যদিকে শঙ্কর অধিকারী বলেন, “সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনের ওপর আস্থা আছে। তদন্ত করে দ্রুত সমাধান হোক। অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক।’’