অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সুমন ঘড়াই ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা ও বাঁকুড়া: ‘মমতাকে বলতে চাই, মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে।’

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ। যা ফিরিয়ে এনেছে প্রায় তিন দশক আগের স্মৃতি।

দিনটা ছিল ১৯৯২ সালের ২৫ নভেম্বর। ব্রিগেডের সভা থেকে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ বছর পর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ। যা নিয়ে পাল্টা সুর চড়াতে দেরি করেননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বহিরাগত কিছু লোক এসে যদি ভাবে বাংলাকে ধ্বংস করে দেব, সেটা হতে দেব না...আমাদের জাতীয়তাবোধে আঘাত করতে এলে ছেড়ে কথা বলব না।’

কংগ্রেসের প্রবাদপ্রতিম নেতা বরকত গণি খান চৌধুরী একসময় বারবার সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দিতেন! এদিন কার্যত গণি খানের সেই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাকও দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘মমতার সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিন...দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে সরকার গঠন করব।’

নাম না করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘উঠিয়ে ফেলে দেব বলছে, আমিও যদি বলি। ভদ্রতা বজায় রাখুন।’

সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের মুখে তুঙ্গে বাগযুদ্ধ।