কলকাতা: তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।  গত আটই এপ্রিল, ভোটের মাঝে,সবংয়ের দুবরাজপুরে খুন হন তৃণমূলকর্মী জয়দেব জানা। এই ঘটনায় মানস ভুঁইয়া-সহ স্থানীয় বাইশজন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। ১৪ জুন মেদিনীপুর জেলা আদালতে, আগাম জামিনের আর্জি জানান মানস ভুঁইয়ার আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর,  তদন্তকারী আধিকারিক মেদিনীপুর আদালতে, মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারির আর্জি জানান। অভিযোগ করেন, মানস প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি তদন্তে সাহায্য করছেন না।
এই আর্জির প্রেক্ষিতে, গত শনিবার, মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত। এরপর, সোমবার, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মানস। রাজনৈতিক মহলের একাংশে জল্পনা তৈরি হয়, তা হলে কি চাপে পড়েই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ মানস? সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক অবশ্য জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন,এটা আদালতের বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম সবংয়ের উন্নয়ন ও এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে। একজন জনপ্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতেই পারেন। এটাই স্বাভাবিক। যারা অন্য ভাব দেখেন, সেটা ঠিক নয়। যখন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও বহুবার দেখা করেছি। প্রয়োজনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও একশোবার দেখা করব।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, এবং সবংয়ের স্থানীয় পঞ্চায়েত সভাপতি অমল পাণ্ডার বিরুদ্ধেও, খুনের মামলায় গত শনিবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মেদিনীপুর আদালত।