বারাসত: বামনগাছির প্রতিবাদী সৌরভ চৌধুরী হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসির সাজা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এক জনের। বাকি ৩ জনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল বারাসত আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারে সাজাপ্রাপ্তরা।
অবশেষে বিচার পেল বামনগাছি। প্রতিবাদী সৌরভ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে দোষী ১২ জনকে মঙ্গলবার সাজা দিল বারাসত আদালত।
এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ আদালতে আনা হয় দোষীদের। দশ মিনিট পর আদালতকক্ষে ঢোকেন বিচারক। তিন ভাগে দোষীদের আলাদা করে দাঁড়াতে বলেন। এরপরই খুন, অপহরণ, একই উদ্দেশ্যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।
পাশাপাশি, অস্ত্র আইনেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শামলকে ৫ বছরের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
একই অপরাধে শ্যামলের পাশাপাশি ফাঁসির সাজা হয়েছে সুমন সরকার, সুমন দাস ওরফে ভুবন, অমল বারুই ওরফে কুচে, রতন সমাদ্দার, তারক দাস, সোমনাথ সর্দার ও তাপস বিশ্বাসের। দোষী সাব্যস্ত রাকেশ বর্মণের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
দোষীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে, শিশির মুখোপাধ্যায় ওরফে সন্তু, রতন দাস এবং পলি মাইতিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বারাসত আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দমনপ্রসাদ বিশ্বাস। পাশাপাশি ৫ হাজার জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের জেল।
বিচারক জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারে সাজাপ্রাপ্তরা। বামনগাছি হত্যাকাণ্ডে গত ১৫ এপ্রিল অনুপ তালুকদার নামে এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন সাজা হল ১২ জনের। এখনও অধরা অন্যতম অভিযুক্ত লিটন তালুকদার।