তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার আঙ্গারিয়া গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। যার জেরে জখম দু’পক্ষের ৯ কর্মী। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে পারিবারিক ঝামেলার জেরেই সংঘর্ষ বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতির। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশি টহলদারি চলছে।


সরকারি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের ঠিকমতো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার আঙ্গারিয়া গ্রাম। প্রথমে তর্কাতর্কি, তারপর একে অপরের বিরুদ্ধে লাঠি-টাঙ্গি নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে। উভয়পক্ষের ৯ জন কর্মী আহত অবস্থায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


বাঁকুড়ার তৃণমূল কর্মী আনিসুর আলি খান বলেন, ‘অনেকেই আছে যারা একসময় তৃণমূল করত কিন্তু ভোটের সময় তলে তলে বিজেপিকে সমর্থন করেছে। এখন তাঁরা ফের এলাকায় নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে মরিয়া। এলাকায় ১০০ দিনের কাজে নতুনদের কোনও সুযোগ দিচ্ছিল না ওঁরা। এর প্রতিবাদ করায় গতকাল রাতে আমাদের উপর ওরা চড়াও হয়। লাঠি টাঙ্গি নিয়ে আমাদের মারধর করে। আমাদের ৪ জন কর্মী জখম হয়।’


অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর দাবি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে অন্য পক্ষ। আরেক পক্ষের তৃণমূল কর্মী রাজু দালাল বলেন, ‘গ্রামে একসঙ্গে আমরা তৃণমূল করতাম। কিন্তু তৃণমূলের নাম করে এক গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে লুটেপুটে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছিল। আমরাই বরং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। গতকাল রাতে আমাদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং আমাদের ৫ জন তৃণমূল কর্মী জখম হন।’


দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও বিষয়টিকে পারিবারিক ঝামেলা বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘এখানে সবাই তৃণমূল করে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়নি। আমার কাছে খবর আছে যে এটা পারিবারিক ঝামেলা।’


এদিকে আঙারিয়া গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জয়পুর থানার পুলিশ। গ্রামে পুলিশি টহলদারি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার।