সমীরণ পাল, বারাসত: দীর্ঘ ৫ বছরের রোগযন্ত্রণা। তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় কষ্টের উপশম ঘটাল বারাসত হাসপাতাল। বিশেষ ভাবে সক্ষম বছর ৩১-এর সের সাদিক আনোয়ার। মনের ভাব বা কষ্ট কোনওটাই সঠিক করে প্রকাশ করতে পারেন না আর বাকি ৫ জনের মতো। এমন অবস্থায় আরও এক যন্ত্রণা জাঁকিয়ে বসেছিল। বিগত পাঁচ বছর ধরে রেক্টাল প্রলাপ্স রোগে ভুগছিলেন সাদিক। 


কী এই রেক্টাল প্রলাপস রোগ! চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাভাবিক অবস্থান থেকে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে মলদ্বার। এমনই সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছিল সে। তবে অবশেষে সুরাহা মিলল। 


একটি অনাথ আশ্রমে থাকতেন সাদিক। জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় ঘুরেও সঠিক চিকিৎসা পায়নি সে। প্রতিদিনই সাদিকের শারীরিক পরিস্থিতি একটু করে খারাপ হচ্ছিল। শেষমেষ বারাসত হাসপাতালের দ্বারস্থ হয় হোম কতৃপক্ষ। বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল ও শল্য চিকিৎসক রবীন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক মেডিক্যাল দল গঠন করেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুরু হয় সাদিকের অস্ত্রোপচার। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ সাদিক। পুরনো যন্ত্রণা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ফিরে গিয়েছেন নিজের হোমে। 


ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে স্বস্তি পেয়েছেন সাদিক। মুখে প্রকাশ না করতে পারলেও চোখ-মুখ অন্তত সেটাই বলছে। অন্যদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে হোম কর্তৃপক্ষও।