বারাসত:  সত্যিই কি অজিতকে পেতে স্বামীকে সরিয়ে দিয়েছে মনুয়া? নাকি, অজিতকে ব্যবহার করে পথের কাঁটা সরিয়েছে সে? যাতে তার উদ্দাম জীবনে কেউ বাধা হতে না পারে? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

বিয়ের এক মাসের মধ্যেই ছিল ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

আর সেই দিনেই ছিল জমজমাট পিকনিক...। সেখানে একে অপরের সান্নিধ্যে প্রকাশ্যে খুশিই দেখাচ্ছিল অনুপম-মনুয়াকে। কিন্তু অনুপমের সেই হাসির আড়ালেও কষ্টের কাঁটা রক্তাক্ত করত তাঁকে। পিকনিকে বসে সেকথা স্বীকারও করেছিলেন অনুপম। অনুপমের দাবি ছিল, মনুয়া অনেক ছোটখাটো বিষয়ে যেগুলির প্রয়োজনীয়তা নেই, সেক্ষেত্রেও খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ত।  অনেক ক্ষেত্রে গালিগালাজ করত, রূঢ় ভাষায় কথাও বলত। সামান্য কারণে রেগে যেত।

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, বাবার সঙ্গে মনুয়ার বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। দু’জনে একসঙ্গে মদ্যপানও করতেন। কিন্তু মা মনুয়ার একাধিক সম্পর্ক মেনে নিতে পারতেন না। তাই মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে মনুয়া স্বীকার করেছে, বাবার মতো পুরুষই তার পছন্দ ছিল।

পিকনিকের ভিডিওতে অনুপমও স্পষ্ট জানিয়েছেন, মনুয়া তাঁকে তাঁর বাবার সঙ্গে সবসময় তুলনা করায় তিনি আঘাত পেতেন।

বাবার মতো পুরুষ চেয়েছিল মনুয়া।

ঘরোয়া স্ত্রী চেয়েছিলেন অনুপম। অন্যদিকে, একাধিক পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মনুয়ার।

তদন্তকারীদের দাবি, সম্পর্কের ভাঙন শুরু সেখান থেকেই।  তদন্তকারীদের দাবি, মনুয়ার জীবনে তার বাবার প্রভাব খুব বেশি। জেরার মুখে সে বার বার জানিয়েছে, বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায়। মনুয়ার বাবা স্থানীয় স্কুলের অশিক্ষক কর্মী ছিলেন। বেশ কিছুদিন হল অবসর নিয়েছেন চাকরি থেকে।

কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্ন, বাবার মতো পুরুষ চাইলে কেন অজিতের দিকে ঝুঁকল মনুয়া? অনুপম চাকরি করলেও অজিত তো কিছুই করত না।

তাহলে কি প্রেমের অভিনয় করে অজিতকে কাজে লাগিয়ে পথের কাঁটা সরিয়েছে মনুয়া? যাতে তার উদ্দাম জীবনে কেউ বাধা হতে না পারে?

খতিয়ে দেখছেন, তদন্তকারীরা।।