বীরভূম:  পুরুলিয়ার পর এবার বীরভূম। গত বছর লাভপুর থেকে এসএসকেএমে আনা শিশুর শরীরেও মিলেছিল ৪টি সূচ। নেপথ্য তন্ত্রসাধনা বা ঝাড়ফুঁকের মতো বিষয় থাকতে পারে বলে অনুমান। সেবারও মুখ খুলতে চায়নি শিশুর পরিবার। এবারও পুরুলিয়ার শিশুকন্যার মায়ের মুখে কুলুপ। এ যেন যন্ত্রণার পুনরাবৃত্তি!সেই একই কায়দায় ছোট্ট শরীরে নির্মম অত্যাচার! সূচকাণ্ড আগেও ঘটেছে.....পুরুলিয়ার মফস্সল থানা এলাকা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে বীরভূমের লাভপুরে। ঠিক এগারো মাস আগে, ২০১৬-র অগাস্টে। বীরভূমের লাভপুরে একই কায়দায় অত্যাচারের শিকার হয়েছিল এক শিশুপুত্র। তিন বছরের শিশুর পেটে ঢোকানো ছিল ৪টি সূচ! তাকেও এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। পুরুলিয়ার মফস্সল থানা এলাকার বাসিন্দা একরত্তি মেয়েটার শরীরে ঠিক যেভাবে সূচগুলি ঢোকানো হয়েছে....ঠিক সেই ভাবেই লাভপুরের ওই শিশুর পেটে ঢোকানো হয়েছিল ৪টি সূচ! সেবার অস্ত্রোপচার করে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলেন এসএসকেএমের চিকিত্সকরা। এবার পুরুলিয়ার শিশুর চিকিৎসাও চলছে সেই এসএসকেএমে!পুরুলিয়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি শিশুকন্যার মা।  বীরভূমের লাভপুরের ঘটনাতেও মুখ খুলতে চাননি অভিভাবকরা। পুরুলিয়ার ঘটনায়, ৩ বছরের শিশুকন্যা মায়ের আশ্রয়দাতার বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। নেপথ্য তন্ত্রসাধনাও থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এই প্রেক্ষাপটে লাভপুরের ঘটনার ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ঘটেছিল বলে সন্দেহ। ২ ঘটনার মধ্যে পরতে পরতে মিল। সেবারও নির্মম অত্যাচার নেমে এসেছিল ৩ বছরের এক শিশুপুত্রর ওপর। এবারও সূচবিদ্ধ পুরুলিয়ার ৩ বছরের শিশুকন্যার শরীর।