কলকাতা: একদিকে এদিনই বিধানসভায় গিয়ে রিসিভিং সেকশনে ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। অধ্যক্ষকে ই-মেল করেও ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি।


আর অন্যদিকে এই বিদ্রোহের সুরের মধ্যেই ফের একবার বিদ্রোহীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের সভায় তিনি বলেন, যাঁরা প্রথম দিন থেকে তৃণমূলে ছিলেন, তাঁরা আছেন। দু’একটা জোয়ারে ভেসে যায়। যাঁরা প্রথম দিন থাকে, তারা শেষ দিনেও থাকে। আদর্শ বদল করা যায় না।


এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কারোর আদর্শ থাকলে তা ত্যাগ করে না। কিন্তু, তৃণমূলের তো কোনও আদর্শই নেই। তিনি যোগ করেন, করোনা কবে যাবে বলা যাবে না, কিন্তু মে মাসে তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি আছে তৃণমূল ভাইরাস থাকবে না।


দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, মমতা নিজেই তো প্রথম থেকে তৃণমূলে ছিল না। ও কী করে বলবে, কে প্রথম দিন ছিল, কে ছিল না?


এরইমধ্যে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বলেন, এরপর হয়তো আমাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। জেলা সভাপতি, বিধায়ক বা পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।


বুধবার তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন গুসকরা পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, শুভেন্দু যা বলবেন, তাই করবেন।


মমতার সভার পরই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে নিশানা কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংহের। জেলা নেতৃত্ব চাইলে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি। বলেন, মনে হয় ওরা একসঙ্গে চলতে চায় না। এভাবে ভোটে জেতা যায় না। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


তৃণমূল ছাড়লেন বোলপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন ও বিদায়ী কাউন্সিলর। দলে অসম্মান করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে, দাবি বিজেপির। অন্যদিকে দল ছাড়লেন পটাশপুরের ২ ব্লকের সহ সভাপতি। যা নিয়ে শুরু চাপানউতোর।


বিধানসভা ভোটের আগে বসিরহাট মহকুমায় তৃণমূলের অন্দরে আরও অস্বস্তি! এবার দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা, তথ্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি।


বিদ্রোহী ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। সাড়ে ৪ বছর ধরে কাজ করার সুযোগ পাইনি। কাজের পরিবেশ ছিল না, কেন তা জানি না। দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার।


পূর্ব মেদিনীপুরের পর, এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলে ভাঙন। দল থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা। দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন দাঁতন ব্লকের সাধারণ সম্পাদক রুদ্রাংশু বেরা।