হাওড়া: এবার বেসুরো হাওড়ার প্রবীণ তৃণমূল নেতা বাণী সিংহ রায়। কেন শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতার দল ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কোণঠাসা করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাণী। তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দাবি করে বাণীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার চার-পাঁচজন এখন দল চালাচ্ছেন।
হাওড়ার এই তৃণমূল নেতার দাবি, নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর বাংলার সংস্কৃতি জানেন না। এভাবে ভোটে জেতা যায় না। শুভেন্দুর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বাণী সিংহ রায়। ফেসবুক পোস্টেও তিনি দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত তৃণমূলের অন্দরে অন্তর্কলহ প্রকাশ পাচ্ছে। এক এক করে বেসুরো গাইছেন দলের হেভিওয়েট থেকে শুরু করে প্রবীণ নেতারা। যার শুরুটা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের কাজকর্মে তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন বারবার। বলেছিলেন, আমি প্যারাসুটে করেও নামিনি, সিঁড়ি ভেঙে ধাপে ধাপে উঠেছি।
রাজ্যের আরেক হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা তৃণমূলের তরুণ মুখ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য়েও উঠে আসে ক্ষোভ। বলেন, যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন স্তাবকতার যুগ। হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলাতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। বলেন, তৃণমূলের বোঝা হয়ে থাকতে চাইনা। দলে আর থাকব না। পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মিহির।
তৃণমূলের উত্থানের আরেক ভিত্তিভূমি সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ককে নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। বলেছিলেন, দল যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে তাহলে দল পরিবর্তন করে অন্য দলে যেতে পারি কিনা সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। দল আমার প্রতি সম্মান দেখালেও শেষ মুহূর্তে এসে দল যেভাবে আমাকে বঞ্চিত ও অবহেলা করল, সভাপতিকে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হল তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।