কলকাতা: দুর্গাপুর ও তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের একাংশে প্লাবনের আশঙ্কা। টানা বৃষ্টি থামলেও আশঙ্কা বাড়াচ্ছে জলাধারগুলি থেকে ছাড়া জল। রাজ্যের একাধিক জেলায় ফের প্লাবনের আশঙ্কা। বিপর্যস্ত বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানের জনজীবন।
বীরভূমে বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফুলে উঠেছে অজয় এবং ময়ূরাক্ষী। বীরভূমে ফুঁসছে শাল, ব্রাহ্মণী এবং দ্বারকার মতো ছোট ছোট নদ-নদীগুলি। মহম্মদবাজারের কয়েকটি গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে জল। যাতায়াতের জন্য ভরসা নৌকা।
পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার দরবারডাঙায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে তিনটি অস্থায়ী সেতু। ফলে, জামুড়িয়া-বীরভূমের মধ্যে বন্ধ যান চলাচল। সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লালবাজার, পাথরচুর-সহ ৩টি গ্রাম।
অন্যদিকে, আসানসোলের কাল্লা মোড়ে বসে গিয়েছে নুনিয়া নদির উপর সেতুর একটা অংশ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আসানসোল ও বারাবনির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আসানসোলের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো ভেসে যাওয়া বেড়েছে দুর্ভোগ। ফুলে ওঠা নদীর সঙ্গে চিন্তা বাড়িয়েছে জলাধার থেকে ছাড়া জল।
এদিন সকাল থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজের পাশাপাশি মঙ্গলবার ময়ূরাক্ষী নদীর ম্যাসাঞ্জোর জলাধার ছাড়া হয়েছে ৪৫ হাজার কিউসেক জল। এদিন ৪৭ হাজার কিউসেক জলছাড়া হয়েছে তিলপাড়া থেকে।
জমা জল নামানোর চেষ্টার পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর ভেঙে পড়া গাছে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।