কলকাতা ও দক্ষিণ দিনাজপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে, মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নম্রতা দত্ত। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তভার হাতে নিল রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযুক্ত হিসেবে ঋতব্রতকে নোটিস পাঠাল সিআইডি। আগামী শুক্রবার সকাল দশটায় তাঁকে ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে ঋতব্রতর হালতুর বাড়িতে গিয়ে দরজায় নোটিস লাগিয়ে আসেন সিআইডির ৪ অফিসার। তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় নোটিসের কপি। এক সিআইডি আধিকারিক বলেন, ১৩ তারিখ সকাল দশটায় হাজিরার নির্দেশ। বাবা রিসিভ করেছে। দরজায় সাঁটানো হয়েছে। বাড়ির লোক জানিয়েছে ঋতব্রত কোথায় তাঁরা জানেন না।
এদিকে, এদিনই নম্রতা দত্তকে ডেকে পাঠায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট হয়। বালুরঘাট জেলা আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট। বাড়িতে ফিরে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নম্রতা দত্ত। তাঁর দাবি, সন্ধেয় দুটি নম্বর থেকে ফোন। বলছে, মামলা না তুললে, আমার আয়ু কমে যাবে। নিরাপত্তার দাবিতে কাল পুলিশের কাছে যাব।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে, ৬ অক্টোবর এই তরুণীর বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঋতব্রত। কিন্তু এখন তিনি কোথায়? সিআইডি সূত্রে দাবি, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত ৮ অক্টোবর ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট নিয়ে, বিমানে হংকং যান তিনি। ঋতব্রত অন্তত ৮টি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি নম্বর এখন সুইচড অফ।
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, ঋতব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীদের সবরকম গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন সিআইডির তদন্তকারীরা।