নয়াদিল্লি: পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তর অপসারণের দাবি জানাল কংগ্রেস। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা-সহ সমস্ত পর্যবেক্ষককেও সরানোর দাবি জানিয়েছে তারা।


মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নাসিম জাইদিকে লেখা অধীর চৌধুরীর চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বুথ দখল করে ভোট লুঠ করেছে শাসক দল। সংবাদমাধ্যমে ছবিও দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কোনও ব্যবস্থা নেননি। সুনীল গুপ্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি শাসক দলের নির্দেশে কাজ করছেন। আমরা এখনই সুনীল গুপ্তর অপসারণ দাবি করছি। সন্দীপ সাক্সেনাকে সরানোরও দাবি জানাচ্ছি।

তিনি তাঁর দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করেননি। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখনকার সব পর্যবেক্ষককে সরিয়ে কড়া পর্যবেক্ষক পাঠাতেও আর্জি জানাচ্ছি।

কমিশনে নালিশ সিপিএমের।সিপিএমেরও অভিযোগ, আগে থেকে বলা সত্ত্বেও সুষ্ঠুভাবে ভোটের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন।

সিপিএম পলিটব্যুরো বিবৃতি পেশ করে দাবি করেছে,দ্বিতীয় দফার ভোটে যে ভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপটে ভোটপ্রক্রিয়া বাধা পেয়েছে, সেটা দেখে আঁতকে উঠতে হয়।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি দল এ দিন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের অভিযোগ, বেশির ভাগ পর্যবেক্ষককে হয় দেখা যায়নি, না হয় পাওয়া যায়নি এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি।

এবার নির্বাচন কমিশন বার বার আশ্বাস দিয়েছে, ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানোর। সেই মতো ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, তার পরেও ভোটে রক্ত ঝড়ছে। বার বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে গা জোয়ারি, রিগিংয়ের অভিযোগ উঠছে। তা হলে কমিশনের এত আশ্বাস, এত আয়োজনে লাভ কী হল? এবারও কি সেই ভুতুড়ে দাওয়াই-ই কাজ করবে? বিফলে যাবে কমিশনের ওষুধ? শুধু বিরোধীরা নয়, এই প্রশ্ন রাজ্যবাসীরও।