সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় প্রচারে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। এদিন সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচারে যান তিনি। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে তাঁদের আটকায় পুলিশ। বাম নেতা, কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষপর্যন্ত পাঁচজনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচার করার অনুমতি দেয় পুলিশ।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে হাইভোল্টেজ ভোট। আর তার আগে জমজমাট শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। সেই প্রচারে বেরিয়ে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলল বামেরা। এদিন পুলিশ বাধা দিলে প্রথমে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন সিপিএম নেতা কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস সহ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য খবর দেওয়া হয় থানায়। সুজন চক্রবর্তী জানান, দুজন ঢুকবেন প্রচারে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "রাজা রানির রাজত্ব চলছে। নির্বাচনের প্রার্থীকে নিয়ে এই এলাকায় প্রচারের কর্মসূচি ছিল। পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি রয়েছে। সবকিছুর পরেও সাধারণ মানুষকে এনে আমাদের আটকানো হয়েছে। প্রার্থীকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।''
এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল নেতার কথায়, "মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধস্তাধস্তি করা বা এই ধরনের ঘটনা ঘটলে খবর হবে সেটা সবারই জানা। ওদের কোনও দোষ নেই। ওরা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে।'' এদিকে প্রচারের শেষ ধাপে ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে আবেদন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদনপত্রে তিনি লিখেছেন, ভবানীপুর থেকে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। কোভিডের জন্য কমিশনের নিয়ম মেনে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমার লিখিত আবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর যেন আপনাদের আশীর্বাদ পাই।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : ৩০ সেপ্টেম্বর যেন আপনাদের আশীর্বাদ পাই, ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে আবেদন মমতার