দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবেই। ভাঙড়ে তৃণমূলের সভা থেকে আন্দোলনকারীদের চ্যালেঞ্জ এলাকার বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার।
পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় ৪ জানুয়ারি ভাঙড়ে সভা করেছিল জমি জীবিকা পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। ৩ দিনের মাথায় সেই ভাঙড়েই পাওয়ার গ্রিডের দাবিতে সভা করল শাসক শিবির।
আবার একমঞ্চে রেজ্জাক মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেনরা। পাওয়ার গ্রিডের স্বপক্ষে সুর চড়ান সবাই। ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, একমাস সময় দিলাম। এরমধ্যেই আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা কী করবে, দরকারে ক্ষতিপূরণ বাড়াতে পারে সরকার। দরকার হলে আমিও আলোচনায় বসব। পাওয়ার গ্রিড হবেই।
গত বছরের জানুয়ারিতে অশান্তির পর থেকে থমকে প্রকল্প। কিন্তু ভাঙড়ের ‘পাওয়ার গ্রিড’ ঘিরে অশান্তির বিরাম নেই! বছর ঘুরে আরেকটা জানুয়ারি এসে গেলেও, এখনও ভাঙড়জুড়ে উত্তেজনার আঁচ!
একদিকে শাসক দলের হয়ে চ্যালেঞ্জ জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বলেন, আমরা পাওয়ার গ্রিড করবই, বহিরাগতরা এলে আমরা প্রশাসনিক পথে মোকাবিলা করব।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের হয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন মির্জা হুসেন। বলেন, বললেই তো আর পাওয়ার গ্রিড করতে পারবে না। গ্রামে মানুষের ওপর বুলডোজার চালাতে দেব না।
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে অব্যাহত তরজা। এরমধ্যেই আবার একবার আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দেন রেজ্জাক! বললেন, কেউ যদি আমায় বোমা ছোঁড়ে ২ পা পিছিয়ে যাব। তারপর প্রতিরোধ করব। কিন্তু, প্রতিরোধ কী গামছা দিয়ে করব?
অশান্তির আশঙ্কায় ভাঙড়ে এদিন পুলিশের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবমিলিয়ে প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও সরগরম ভাঙড়!