সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: ভাটপাড়ায় বিজেপির বড় ভাঙন। তিন কাউন্সিলর সদলবলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে। রবিবার সন্ধ্যায় সাংসদ অর্জুন সিংহ ঘনিষ্ঠ তিন বিদায়ী কাউন্সিলর দলবল নিয়ে বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিলেন। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন বনমন্ত্রী তথা জেলা  তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


গেরুয়া ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা ধরলেন  সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জ্যোতি সাউ ও তাঁর স্বামী অরুন সাউ। এছাড়াও ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গীতা যাদব। প্রাক্তন কাউন্সিলর কানাই জয়সওয়াল ও যুব নেতা তরুণ সাউ।


এদিনের যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, নারায়ণ গোস্বামী ও সোমনাথ শ্যাম। তাছাড়া উপস্তিত ছিলেন ভাটপাড়া শহর ও জগদ্দল শহর তৃণমূল সভাপতি যথাক্রমে দেবজ্যোতি ঘোষ ও জিতেন্দ্র সাউ, তৃণমূল নেতা গোপাল রাউত, অমিত সাউ প্রমুখ।


বিধানসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের পর থেকেই দলে ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকালই পদত্যাগ করেছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খালেক বিশ্বাস। জিইয়ে রাখলেন তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। ২০১৯-এ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন খালেক বিশ্বাস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয়। পদত্যাগী বিজেপি নেতার দাবি, পদ দেওয়া হলেও, দলে কোনও জায়গা পাননি। সেই কারণেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের কটাক্ষ, রাজ্যজুড়ে বিজেপি ছাড়ছে নেতা-কর্মীরা। পদত্যাগের বিষয়টি জানা নেই, খোঁজ নেওয়া হবে। তবে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।


এদিকে কিছুদিন আগে জঙ্গলমহলেও বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভােটের পর বিজেপি ছেড়ে একে একে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এবার সেই ছবিটা দেখা গেল ঝাড়গ্রামেও। যে এলাকাকে বিজেপির আঁতুড়ঘর বলা হয়, এবার সেই আঁতুরঘরেই ভাঙন ধরাল তৃণমূল। এর আগে সাঁকরাইলের রোহিনী গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করে তৃণমূল। ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির হাতছাড়া হয়েছিল।