গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীর পরিবার ঘরে ফিরতেই ফের অত্যাচার জেরে আবারও ঘরছাড়া বিজেপি পরিবার। এমনই অভিযোগ উঠেছে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত পদুমা পঞ্চায়েতের বোধগ্ৰামে। বিজেপি কর্মী পরাধীন ডোমকে মারধরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলে দয়াময় ডোম গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন। ছেলে দয়াময় ভোটের দিন থেকে ঘরছাড়া। বাবা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কয়েকদিন আগে পুলিশ তাঁদের ঘরে ফেরায়। কিন্তু মঙ্গলবার আবারও তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁরা সপরিবারে ঘরছাড়া। বুধবার ফের দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় ওই  বিজেপি সমর্থক পরিবার।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মুখোপাধ্যায় বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বীরভূমে সমস্ত ঘরছাড়াদের ঘর ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি তালিকা অনুযায়ী আর কেউ বাইরে নেই। যদি কেউ বাইরে থাকেন, তাঁদের আমরা বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এই ঘটনায় এই পরিবার বিভিন্ন সময় আগ বাড়িয়ে ঝামেলা বাঁধিয়েছে। এক্ষেত্রে কোন বিষয় নিয়ে কি হয়েছে সেটা আমরা দলগতভাবে খবর নেব। আর আমরা প্রশাসনকে বলব যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এবার ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছিল। ভোট মিটেছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় তৃতীয় বারের জন্য প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতা দখলে বিজেপি স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু ভোটের পরও অশান্তির অভিযোগ মাঝেমধ্যেই উঠে আসছে।
এরইমধ্যে ভোটের আগে যেখানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছিল।ভোটের পর উল্টো স্রোত। বিজেপি ছেড়ে প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বীরভূমও এর ব্যতিক্রম নয়। আবার এই দলবদলের অভিনব উপায়ও দেখা গিয়েছে। কোথাও ক্ষমা ভিক্ষা করে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। আবার কখনও ধান-দুর্বো নিয়ে শপথ করে তৃণমূলে যোগ দিতেও দেখা গিয়েছে। এরইমধ্যে আবার কোথাও কোথাও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।  ঘরে ফিরে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে।