মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসূন চক্রবর্তী, অন্ডাল: বাঁকুড়ার আকাঙ্খা শর্মা হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে। ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার যুবতীর রহস্যমৃত্যু। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে কাছে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার দগ্ধ মৃতদেহ। গ্রেফতার প্রেমিক সহ ৩।


ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালি তরুণীর রহস্যমৃত্যু। প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুন করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত তরুণীর নাম নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের ইসিএল আবাসনে।পরিবার সূত্রে খবর, উচ্চ মাধ্যমিকের পর, দিল্লিতে চলে যান তরুণী। একটি পার্লারে কাজ শুরু করেন। শেখেন রুশ ভাষা। সেখানেই আলাপ হয়, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা, অঙ্কিত নামে এক যুবকের সঙ্গে। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। পরিজনরা জানিয়েছেন, গত বছর  অক্টোবরে দেরাদুনের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় দোভাষীর কাজ পান নিবেদিতা। সেখানে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।


আত্মীয়দের দাবি, এপ্রিল থেকে নিবেদিতার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। ফেসবুক, ফোন, মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠালে, তা সিন হত। কিন্তু, উত্তর মিলত না। পরিবারের অভিযোগ, এরই মধ্যে, গত ১৬ জুন ফোন করলে অঙ্কিত জানান, নিবেদিতা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করেছে। এরপরই জামুড়িয়ার বিধায়কের সাহায্যে পুলিশের পাস নিয়ে দেরাদুনে যায় নিহত যুবতীর পরিবার।  মৃতের দিদি অন্তরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ফোন করতাম। মেসেজ করতাম। সিন হতো। রিপ্লাই আসত না। আমার মাসির মেয়ে ১৬ তারিখ ফোন করে। তাকে বলে, সুইসাইড করেছে। বলে, আমি পুড়িয়ে দিয়েছি। তাহলে কাগজ কোথায়?”


২৩ জুন দেরাদুনে গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান তরুণীর আত্মীয়রা। অভিযুক্ত অঙ্কিত সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতের মামা চঞ্চল চট্টরাজ বলেন, ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে পুলিশ অ্যারেস্ট করে। যে জঙ্গলে মেরেছিল সেখানে নিয়ে যায়। মামা শনাক্ত করে। বন্ধু ও তাঁর বাবাও জড়িত। তাঁদেরও অ্যারেস্ট করেছে।