আগরতলা: আগাম জামিন পেতেই ত্রিপুরা ছাড়লেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাকের সদস্যরা। অন্যদিকে, সোমবার আগরতলায় আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গতকাল তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সুবল ভৌমিক। তিনি ত্রিপুরা বিজেপির প্রাক্তন নেতাও। 


বাংলায় ভোটের প্রচারে গুজরাত প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করেছিল তৃণমূল। গতকাল ত্রিপুরার রাজনীতির ময়দানে বিজেপিকে বিঁধতে তৃণমূল নেতাদের মুখে সেই গুজরাত প্রসঙ্গ।ত্রিপুরায় টিম পিকের সদস্যদের হোটেলবন্দি করা, পুলিশি সমন পাঠানোয় চাপানউতোর চলছিলই।এই আবহে বৃহস্পতিবার আগরতলার হোটেলে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে পুলিশের তৎপরতায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও তৃণমূল পিছু হটেনি। হোটেলেই কোভিড বিধি মেনে বৈঠক করা হবে বলে তারা জানিয়ে দেয়। 


আইনমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সকলেই শাণিত আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। পাশাপাশি টিম পিকেকে হোটেলবন্দি করে রাখার অভিযোগ নিয়েও সরব হন তাঁরা। শেষে ব্যাঙ্কোয়েটে ৫০ জনকে রেখে বাকিদের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলে বৈঠক। বৈঠকের পরে বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতারা।


ব্রাত্য বসু বলেন, ' ত্রিপুরার মানুষ বাম দেখেছেন। এখনও রাম দেখছেন। এর পর কাম অর্থাৎ কাজ দেখতে চাইছেন। তৃণমূলকে ভয় পেতে শুরু করেছে বিপ্লব দেবের সরকার'


বাংলায় হ্যাটট্রিকের পর ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারে নজর দিয়েছে তৃণমূল। 

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, '' আমাদের হোটেলে ১০০ পুলিশ পাঠিয়েছে, আমরা কি জঙ্গি? আমি একজন সাংসদ, আমরা এসবে ভয় পাই না, ত্রিপুরায় আইপ্যাক কর্মীদের আটক করার নির্দেশ দিল্লি থেকে অমিত শাহ দিয়েছিলেন'' 


পাল্টা বিপ্লব দেব বলেন, ' পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে, দল বা সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করেনি, ত্রিপুরা সীমান্ত রাজ্য, সামনেই ১৫ অগাস্ট, যদি কেউ বাইরে থেকে এসে কিছু করে যায়, তার দায় কে নেবে? পাড়াতেও অচেনা লোক এলে মানুষ জিজ্ঞাসা করে'


বৃহস্পতিবার টিম পিকের ২৩ জন সদস্য আদালতে গিয়ে আগাম জামিন নেন। তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ও আইনজীবী পীযূষকান্তি বিশ্বাস। এরপরই তাঁরা আগরতলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই সোমবার আগরতলা পৌঁছচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সফরকে রাজনৈতিকভাবে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।