গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম:  পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী শুধু তৃণমূলেরই থাকবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে বীরভূমের তৃণমূল সম্পাদক। গত পঞ্চায়েত ভোটে হয়েছিল, এবার আর হবে না। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।


বীরভূমতৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক  আব্দুল মান্নানের হুঁশিয়ারি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীরা নমিনেশন ফাইল করতে পারবে না লাভপুরে। আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রার্থী হতে যায় তাহলে সে আর লাভপুর থেকে ফিরে আসবে না।


২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে।এখনও বাকি প্রায় দু’বছর। কিন্তু, এখনই সেই পঞ্চায়েত ভোট কার্যত বিরোধী শূন্য করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল সম্পাদক আব্দুল মান্নান। 


সোমবার লাভপুরের দাঁড়কা অঞ্চলের প্রায় ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই যোগদান-মঞ্চেই কার্যত বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত ভোটের হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক। 


পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপিও।  দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় তৃণমূল কোনও ভোট করতে দেয়নি। এবার সেটা সম্ভব হবে না। বিজেপি সব জায়গাতেই প্রার্থী দেবে। আমাদের আটকাতে পারবে না।


যদিও তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই, পাল্টা সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেছেন,  আমি বলতে চেয়েছি, এত উন্নয়ন হবে যে বিরোধী বলে আর কিছু থাকবে না। তাই কেউ মনোনয়ন দিতে আসবে না।


প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে বিপক্ষে প্রার্থী না থাকায়, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।জেলার ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২২৪৭টি আসন।কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল মাত্র ২৭৯টি-তে।আর ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৬৫টি আসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল মাত্র ৬০টিতে। 
এই ফল দেখিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ জায়গায় তাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি শাসকদলই।  গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই, নতুন বিতর্কের সূচনা করলেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক।