বীরভূমে দুই বোনকে খুনের ঘটনায় ঘনীভূত রহস্য, সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মা, তলব গৃহশিক্ষককে
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 17 Jun 2016 06:23 AM (IST)
বীরভূম: বীরভূমের মহম্মদবাজারে দুই বোনকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। চার আত্মীয় ও এক স্থানীয় যুবক-সহ ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই যুবক বড় বোনকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ডেকে পাঠানো হয়েছে দুই নাবালিকার গৃহশিক্ষককেও। ১৫ বছরের সুস্মিতা ও ১২ বছরের পুষ্পিতার মা অপর্ণা সাঁধুকেও সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখছেন না তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মায়ের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বেরিয়েছিলেন। সন্ধে সোয়া ৬টা নাগাদ ছোট মেয়ের ফোন পান। পাল্টা ফোন করলেও সাড়া মেলেনি। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বাড়ি ফিরে মেয়েদের গলা কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন মা। প্রশ্ন উঠছে, ঘণ্টাখানেক ধরে মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়া সত্বেও কেন কোনও সন্দেহ হল না মায়ের? অপর্ণা সাঁধুর দাবি, বাড়ি ফিরে তিনি বিছানার ওপর ছোট মেয়ের গলা কাটা দেহ দেখতে পান। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গলা কাটা হলে, রক্তের দাগ কেন চোখে পড়েনি? মহিলা বড় মেয়ের খোঁজ করেননি। পরে প্রতিবেশীরা দোতলার সিঁড়ির ওপরে তাকে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কেন মা তাঁর খোঁজ করেননি, সে প্রশ্নেরও সঠিক জবাব মেলেনি। এইসমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিললেই, জট অনেকটা কাটবে বলে মনে করছে পুলিশ।