তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়াঃ  চারদিন ধরে ২০০-র বেশি পথ কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিষ্ণুপুর পুরসভা। মৃত্যুর কারণ জানতে সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। প্রাথমিক অনুমান কেনাইন ডিসটেম্পার রোগে আক্রান্ত হয়ে কুকুরের মৃত্যু হচ্ছে। সঠিক কারন জানা যাবে ময়নাতদন্তের নমুনার রিপোর্ট জানার পরেই। তবে মানুষের ভয়ের কারণ নেই। এই রোগ সাধারনত কুকুরের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জ্বর, বমি, পায়খানা এমন লক্ষণগুলি হয়ে মৃত্যু হচ্ছে কুকুর গুলির দাবি পশু চিকিৎসকদের।


এখনও করোনা আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি, এর মাঝেই একাধিক কুকুর মড়কের জেরে তীব্র আতঙ্ক বিষ্ণুপুর শহরে। পুরসভা সুত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার ৬০ টি, বুধবার ৮৩ টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি এবং শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৫টি কুকুর মারা গেছে সবমিলিয়ে ২০০-র বেশি পথ কুকুরের মৃত্যু হয়েছে।


হঠাৎ কী কারণে একের পর এক পথ কুকুর মারা যাচ্ছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। এর আগে শহরে কুকুরের এমন মড়ক কখন হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় বিষ্ণুপুর পুরসভা। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে এত কুকুরের মৃত্যু হচ্ছে তার জন্য গতকাল মৃত কুকুরদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে তার পরেই জানা যাবে কী কারণ। তবে পশু চিকিৎসক এবং পুরসভা যৌথ ভাবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলেই দাবি তার।


পশু চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারনা এটা এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশানে কারণে হয়ে থাকতে পারে। বিষ্ণুপুর মহকুমা পশু হাসপাতালের সহকারী অধিকর্তা অনিমেষ আঁশ জানান, ঋতু পরিবর্তনের যোগ থাকতে পারে গোটা বিষয়টায়। কেনাইন ডিসটেম্পার রোগ বলা হয় এই রোগকে।  কুকুরদের সেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়না, ফলে ঐ ভাইরাল ইনফেকশান থেকেও এই কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। সঠিক কি কারণে কুকুরগুলির মৃত্যু হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য মৃত কুকুর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।


বাড়ির পোষ্য কুকুরের মৃত্যুর খবর নেই। শুধু পথ কুকুরের এমন মৃত্যু হচ্ছে। বেশ কিছু পথ কুকুরের চিকিতসা করা হয়েছে যেগুলি মধ্যে বেশ জ্বর, বমি, পায়খানার মতো লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলির সাথে মিল রয়েছে কেনাইন ডিসটেম্পার রোগের।