কলকাতা:  বিশ্ববাংলা বিতর্কে রাজ্যের দুই আমলার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ মুকুল রায়ের। বিশ্ববাংলা-র মালিকানা কার? তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে যাচ্ছেন সুজন চক্রবর্তী।


বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার, কলকাতায় প্রথম সভা থেকে ‘বিশ্ববাংলা’ ব্র্যান্ড নিয়ে আঙুল তোলেন মুকুল রায়। রাজ্য সরকারের তরফে আসরে নামেন দুই আইএএস অফিসার অত্রি ভট্টাচার্য এবং রাজীব সিংহ। এই দুই আমলার বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল ভঙ্গের অভিযোগে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গমন্ত্রকে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এবার রাজভবনে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়েও নালিশ জানিয়ে এলেন তিনি।

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি, অত্রি এবং রাজীব ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছেন। সরকারি অফিসার হিসেবে এটা করতে পারেন না। অত্রি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ৩১ জনকে টপকে চেয়ারে বসেছেন তিনি।

বিশ্ববাংলা বিতর্কে আইনজীবীর মাধ্যমে মুকুল রায়কে নোটিস পাঠিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটিসে, ৪৮ ঘণ্টায় মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই, পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন মুকুলের আইনজীবী। এই প্রেক্ষাপটে তিনি যে এখনও নিজের অবস্থানে অনড়, মঙ্গলবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

বিশ্ববাংলা-র মালিকানা কার, এই বিতর্কের মধ্যেই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করতে চলেছেন তিনি।

গত ১০ নভেম্বর এক জনসভায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ তোলেন, বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। একটা কোম্পানি। মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপরই পাল্টা রাজ্য সরকার দাবি করে, মুকুল রায়ের কথা ভুল। বিশ্ব বাংলার লোগো রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। এর কপিরাইট রাজ্য সরকারে। মুখ্যমন্ত্রী লোগো তৈরি করেন।

এরই মধ্যে এবার রাজভবনে মুকুল রায়, আদালতের যাচ্ছেন সুজন চক্রবর্তী। সবমিলিয়ে বিশ্ববাংলা বিতর্ক তুঙ্গে।