মেদিনীপুর:  দিল্লির সরকার ভারতকে ভাগ করতে চাইছে। এইমুহূর্তে দেশের গণতন্ত্র-স্বাধীনতা বিপন্ন। মেদিনীপুরের সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১৯৪২-এর ভারতছাড়ো আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তিতে মেদিনীপুর থেকে বিজেপিকে ভারত ছাড়ার ডাক দিলেন মমতা। এই আন্দোলন চলছে এবং চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ রাজ্যে কার্যত উধাও হয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার, বাড়বাড়ন্ত ঘটেছে সাম্প্রদায়িক শক্তির। প্রতিটি ভারতবাসীর মৌলিক অধিকার এখন বিপন্ন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মানুষের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। দলিতদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে। আবার সেই দলিতদের সঙ্গেই ছবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এটা অত্যন্ত নোঙরা রাজনীতি। এমনকি সেই রাজনৈতিক স্বার্থ মেটানোর জন্যে বাংলাকে পর্যন্ত ভাগের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ মমতার। সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেবেন তিনি।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যসভা ভোটে গুজরাতে বিজেপির হার আসলে গণতন্ত্রের জয়। প্রথমে সেখানে গণতন্ত্র বনাম একনায়কতন্ত্রের খেলা হলেও, শেষপর্যন্ত গণতন্ত্রেরই জয় হয়েছে।

মেদিনীপুরের সভা থেকে সিপিএমকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সিপিএম দ্বিমুখী নীতি নিয়েই বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। তারা পাহাড় আর সমতল দুজায়গায় দুরকম কথা বলছে। পাহাড়ে গিয়ে বলছে বাংলাকে ভাগ করো, এদিকে সমতলে ওয়াক আউট করছে, অভিযোগ মমতার। আসলে সিপিএম নিজেদের বাঁচাতে বিজেপির হাত ধরেছে। ৩৪ বছর তারা বাংলাকে জ্বালিয়েছে, এবার বিজেপির সঙ্গে মিলে বাংলাকে জ্বালাতে এসেছে, মন্তব্য মমতার। নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ে সিপিএমের অত্যাচারের থাবা দগদগে ঘায়ের মতো রয়েছে। সেকথা বাংলা আজও ভোলেনি, মন্তব্য মমতার।