আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান): পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে জেহাদি কার্যকলাপ চলছিল অভিযোগ তুলে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলল বিজেপি।


তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিস্ফোরণের পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। মঙ্গলবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিস্ফোরণস্থলে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চলত।


দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, পার্টি অফিসকে সামনে রেখে বোমা তৈরি চলছিল। জেহাদি কার্যকলাপ চলছে। তিনি যোগ করেন, খাগড়াগড়ের মতো এখানেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। ৪-৫ জন মারা গেছে। কিন্তু পুলিশ স্বীকার করছে না।


এই ষড়যন্ত্রে তৃণমূল যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। লকেট বলেন, দলীয় কার্যালয় বিস্ফোরণ হয়েছে। ফলে, তৃণমূল নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না।


অভিযোগ, রবিবার বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ স্থানীয় বাসিন্দা হান্টার শেখ। এই প্রসঙ্গেও সোচ্চার হন লকেট। তাঁর প্রশ্ন, সরকারকে বলতে হবে হান্টার শেখ কোথায়? তাদের বাড়ি লোকেরাই বা কোথায়?

এদিন পিচকুড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলার চেষ্টা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিস্ফোরণের ঘটনা রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।


দলের নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ভারত সরকারের কাছে বলব এখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাতে। এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হবে। খাগড়াগড়ের ঘটনা প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বলে ধাপা চাপা দিতে চাইছিল, এখানেও সেই চেষ্টাই করছে। কিন্তু লাভ হবে না।


যদিও, বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বাইরে থেকে ঝোলা ভর্তি করে সিপিএমের লোকেরা পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে।


ঘটনার পর ৪৮-ঘণ্টা পার হলেও এখনও থমথমে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পিচকুড়ি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, গ্রাম কার্যত ফাঁকা। যে কয়েকজন গ্রামবাসী রয়েছেন, আতঙ্ক তাঁদের চোখেমুখে।


প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধে সাড়ে ৫টা নাগাদ পিচকুড়ির এই তৃণমূলের পার্টি অফিসে জোরাল বিস্ফোরণ হয়। গুড়িয়ে যায় শাসক দলের কার্যালয়। এই ঘটনায় সোমবার সিআইডির বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে।