উত্তর ২৪ পরগনা: এবার বেসুরো মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা দুলাল বর। তাঁর দাবি, অসম্মানিত হয়ে দল ছেড়েছেন মুকুল রায়। অনেকেই বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পাচ্ছে না। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে এসেছিলাম। আগামী দিনে কী পরিকল্পনা, তা ভবিষ্যৎ বলবে। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পরে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত রাজ্য বিজেপির তফশিলি মোর্চার সভাপতির মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তিনি বলেছেন, রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।


রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বাগদা থেকে দলের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন দুলাল বর। এরপর ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে। ওই বার দুলাল বর দাঁড়াননি। ২০১৬-তেও তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। এরপর কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বাগদা থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তবে পরে তৃণমূলে ফিরে আসেন তিনি। এরপর মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিলে তিনিও গেরুয়া দলে চলে যান।


উল্লেখ্য, মুকুল রায় কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন। তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের। মুকুলের দল বদলের পর বিজেপির একাধিক নেতা বেসুরো গেয়েছেন। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের গলাতেও ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে।বাগদার বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, মুকুল রায়ের মতো নেতা চলে যাওয়ায় ক্ষতি হবে দলের। তিনি আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে। তৃণমূলনেত্রী তাঁকে স্নেহ করেন। ভাল সম্পর্ক আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
বিশ্বজিৎ বলেছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক ব্যাপার জড়িত নয় । গতকাল শুক্রবার মুকুল তৃণমূলে ফেরেন। শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ।কিন্তু, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর,গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর,বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন না।  এ ব্যাপারে বিশ্বজিৎ যেখানে ওই বৈঠক হয়েছে, সেই স্থান সম্পর্কে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন।


 এরইমধ্যে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মন্তব্য ঘিরেও জল্পনা ছড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, দলে যোগ্য সম্মান পাননি মুকুল রায়। তাই হয়ত বিজেপি ছেড়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, মুকুল রায়ের মতো নেতা চলে যাওয়া মানে অবশ্যই দলের ক্ষতি।