বীরভূম: বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বীরভূমের কাঁকরতলার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতরা বিজেপি নেতার প্রতিবেশী। খুনের বদলা নিতেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


৯৫ দিন জেল খেটে বাড়ি ফেরার পর, গত শনিবারই খুন করা হয়েছিল বীরভূমের কাঁকরতলার বিজেপি নেতা মিঠুন বাগদিকে। আর এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই নিহত বিজেপি নেতা মিঠুন বাগদির প্রতিবেশী। কিন্তু কেন প্রতিবেশীদের হাতেই টার্গেট হলেন বিজেপির দুবরাজপুর এ মণ্ডলের সভাপতি? নেপথ্যে কি তাহলে কোনও পুরনো শত্রুতা রয়েছে? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।


আর এ প্রসঙ্গেই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত বছরের ডিসেম্বরে খুন হন বিজেপি নেতা মিঠুন বাগদির প্রতিবেশী রাজু বাগদি। সেই খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন এই মিঠুন। ৯৫ দিন জেল খাটার পর তিনি গত ৫ জুন ছাড়া পান তিনি। ফেরেন বাড়িতে 


শনিবার পরিবারকে নিয়ে বাড়ি ফিরতেই বিজেপি নেতা হামলার মুখ পড়েন। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন করা হয়েছে। 


সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ দে জানিয়েছেন, 'গত বছর একজন খুন হন, সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল, প্রতিশোধ নিতে ওদের প্রতিবেশীরা হামলা চালায়। এই খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল।


বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন, 'গ্রামছাড়া কর্মীরা ফিরতে গিয়েছিল, খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল, আইনি প্রক্রিয়া চলছিল, তাঁকে মেরে ফেলা হল, তৃণমূলের হাত রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের কথায় 'এর সঙ্গে দলের যোগ নেই, বিজেপি এটা পারিবারিক ঘটনা।'


এদিন দুবরাজপুর আদালতে ধৃত এক অভিযুক্তর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি চারজনের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।