উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট যাওয়ার পথে বাম-বিজেপি-কংগ্রেসকে আটকাল পুলিশ। দমদমের মাইকেলনগরে গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া না দিয়ে সকালে বসিরহাট রওনা দেন বিরোধীরা। অশোকনগরের কাছে ও দেগঙ্গায় বামেদের আটকায় পুলিশ। বামেদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মহম্মদ সেলিম। ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্যও।অশোকনগরের মুখে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই ফিরে আসে বাম প্রতিনিধিদল। প্রতিবাদে বারাসতে বিক্ষোভ কর্মসূচী বামেদের। কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস প্রতিনিধিদলকে আটকানো হয় বারাসতেই। কংগ্রেস প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধীর ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।


মাইকেলনগরে বিজেপি প্রতিনিধিদের আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। একাই গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে আটকান পুলিশকর্মীরা। পরে রূপা-লকেট-সহ একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাবেন না। গতকাল সবার সহযোগিতা চেয়ে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা পৌঁছে দিতে ৩ বিরোধীদলের নেতাকে ফোন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে, এখনও থমথমে বসিরহাট। চলছে পুলিশ-আধা সেনার টহল। আজও দোকানবাজার বন্ধ।

এদিকে, এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মার তরফে লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে ওই এলাকায় গেলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে উঠতে পারে, যা এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকলকেই ওই এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।