কলকাতা: পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কেউ বসিরহাটে যাবেন না। আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। সহযোগিতা চেয়ে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি নেতৃত্বকে ফোন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।


বসিরহাটের অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকার যখন বিজেপির বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করছে, তখন পাল্টা চাপ তৈরি করতে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলল বিজেপি।

বামেরা অবশ্য আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এই দাবির পক্ষে নয়।

এ নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে আবার যদি ভোট হয়, তাতে হেরে যাওয়ার ভয়েই সিপিএম রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে না।

সুর চড়িয়ে বিজেপিকে জবাব দিয়েছে বামেরাও।  বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বিজেপির কাছ থেকে তাঁদের কিছু শেখার নেই। তিনি বলেছেন,

৩৫৬ ধারা সমস্যার সমাধান নয়।

বাম-বিজেপির এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতও বাড়ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাহুল সিনহাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।

একদিকে তৃণমূল যখন রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব, অন্যদিকে তখন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় ফের সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে বসিরহাট নিয়ে আরও জোরালোভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে এবার দিল্লি থেকে আসছে বিজেপির তিন সাংসদের প্রতিনিধি দল। মীনাক্ষী লেখি,সত্যপাল সিংহ এবং ওম মাথুর।তিনজনই রিপোর্ট দেবেন অমিত শাহকে।

শুক্রবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দলের বসিরহাট যাওয়ার কথা রয়েছে।

শুক্রবার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা নিয়ে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলও বসিরহাট যাচ্ছে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, যতক্ষণ না বসিরহাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন, আপনারা কেউ বসিরহাট যাবেন না। আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।

মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা পৌঁছে দিতে ৩ বিরোধী দলের নেতৃত্বকে ফোনও করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

রাজ্য সরকারের লক্ষ্য একটাই, যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফেরানো।