কলকাতা: ফের বিতর্কে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ সৌমিত্রর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ এনেছেন যুব মোর্চার কর্মীদের একাংশ। এ ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে জমা পড়ল লিখিত অভিযোগ।
দিলীপ ঘোষের কাছে লেখা চিঠিতে যুব মোর্চার কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, ‘নতুন দলে আসা মহিলা কর্মীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সৌমিত্র। যুব মোর্চার পুরনো মহিলা কর্মীদের প্রকাশ্যে সম্মানহানি করা হচ্ছে। ফোনে হুমকি দিচ্ছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।’
চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ‘সৌমিত্রর নেতৃত্বে যুব মোর্চায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যুব মোর্চায় একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন সৌমিত্র।’
এ সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছেন, বিজেপি গণতান্ত্রিক দল বলেই এমনটা সম্ভব। কারুর অভিযোগ থাকলে করতেই পারেন। কিন্তু এই সব অভিযোগ ঠিক নয়।
সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতাকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এমনকি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণাও করে দেন। কিন্তু, তার কিছুক্ষণ পরই ফের পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন। সেই রেশ কাটতে কাটতেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সৌমিত্র খাঁ।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ফেসবুক পোস্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন সৌমিত্র খাঁ। ফেসবুকে পোস্ট করে সৌমিত্র বলেছিলেন, আমি কখনও ঘরের লোকের জন্য কিছু চাইনি। যা ভুল হবে, তা সবসময় তুলে ধরব। কখনও স্বার্থ নিয়ে তৃণমূল করিনি, বিজেপিতেও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি। আমি নিজের স্বার্থে বিজেপিতে যোগদান করিনি। বিজেপি হিসেবে জীবন দিয়ে লড়ব। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে বলব আয়নাতে মুখ দেখতে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাবেন না। এতে আমরা সবাই মর্মাহত।“ একইসঙ্গে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষকে। বলেন, "আমাদের দলের সভাপতি অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না।"
পরে মন্তব্যের জন্য এবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন সৌমিত্র। তিনি বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দলবিরোধী কথাবার্তা বলেছিলাম। যেগুলো বলা আমার ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে। তার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু, এটাও সত্যি যে এখন থেকে সর্বোচ্চ দিয়ে যুবমোর্চা করব। আন্দোলন গড়ে তুলব। অগাস্ট মাসে মানুষ দেখবে আন্দোলন কাকে বলে।