কলকাতা: রাজ্যের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাকি রয়েছে। যার মধ্যে ভবানীপুর-সহ ৫টি আসনে হবে উপনির্বাচন। এই নিয়ে তৃণমূল বিজেপি টানাপোড়েন চলছেই। এরই মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।



'রাজ্যে উপনির্বাচন করার পরিস্থিতি হয়েছে নাকি !!' ফের শুভেন্দুর গলায় কটাক্ষের সুর।  তিনি বললেন, '' রাজ্যের নির্দেশিকায়  বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, রাজনৈতিক মিটিং মিছিল করা যাবে না। তাহলে নির্বাচন কীভাবে হবে? '' তাঁর ব্যাখ্যা, নির্বাচন মানেই তো রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণ, প্রচার। তা না হলে উপ নির্বাচনই বা হবে কী করে ? ''এখানে ভোটের পরিবেশ নেই। সেটা নির্দেশিকাই বলে দিচ্ছে। ''


সেই সঙ্গে শুভেন্দুর গলায় ফের একবার 'নন-এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী' কটাক্ষ।   শুভেন্দু বলেন, ''কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি Non-MLA -কে সরিয়ে MLA-কে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। বিধানসভা ভোটের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূল বেশি উৎসাহিত হয়েছিল। তৃণমূল বলেছিল বহিরাগত বিজেপির নেতারা ও আধা সামরিক বাহিনী করোনা ছড়িয়ে গেছে। তাহলে তো ওদের উচিত ভ্যাকসিনেশনের পর ভোট করানো।''


সেই সঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ কলকাতায় জল জমা নিয়েও।  বললেন, কলকাতার মানুষ দেখুন কোন সরকারকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। শুভেন্দুর স্বভাবসিদ্ধ খোঁচা, ' ইয়াসের পর সবাই বলছিল দুয়ারে গঙ্গা, এবার বোধ হয় বলবে দুয়ারে নর্দমার জল!! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরুর আগে বোধ নয়, এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। '' 

সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়ে ফের একবার খোঁচা বিরোধী দলনেতার গলায়। বললেন, ‘লোকসভা ভোট অনেক দেরি, এখন এসব নিয়ে কথা কেন?’ সেই সঙ্গে তাঁর ভরসা, নরেন্দ্র মোদির উপরই আস্থা রাখবে মানুষ। ' ২০১৯-এ বিরোধী জোটের চেষ্টা হয়েছিল, সফল হয়নি, ‘এবারও যতই চেষ্টা করুন, নরেন্দ্র মোদির ওপরই আস্থা দেশের মানুষের’


ভ্যাকসিন প্রসঙ্গেও শুভেন্দু বলেন, '' কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে বিজেপি অবিজেপি করে না। বরং রাজ্য সরকার তাঁদের স্টোরেজ, পরিকাঠামো ও পদ্ধতি ঠিক করুক '' 
 
অন্যদিকে আজ পিএসি-র প্রথম বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। '১০ বছরে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। অধ্যক্ষের প্রতি আস্থাশীল হলেও আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ শুনানি নিয়ে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু অধিকারীর।