শিলিগুড়ি: নকশালবাড়িতে বিজেপি সমর্থক, দলিত দম্পতির ঘরে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অমিত শাহ। তাঁর পছন্দ অনুযায়ী, মেনু ছিল নিরামিষ। দাওয়ায় বসে, একেবারে পাত পেড়ে ডাল-ভাত খান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
কলাপাতায় সাজানো ভাত, ডাল, রুটি, পাঁপড়ভাজা ও পটলভাজা। দাওয়ায় বসে একটু একটু করে তা মুখে তুলছেন অমিত শাহ। ভিভিআইপি অতিথিকে দেখতে নকশালবাড়ির আশ্রমপাড়ার অতিসাধারণ বাড়িটার বাইরে তখন উপচে পড়া ভিড়।
সশস্ত্র বাম আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নকশালবাড়ি থেকে তিনদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি যান নকশালবাড়ির আশ্রমপাড়া দক্ষিণ কোটিয়াজোটে।

স্থানীয় বিজেপি সমর্থক রাজু মাহালির বাড়িতে তখন সাজো সাজো রব। আগে থেকেই ঠিক ছিল অমিত শাহ এই বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। পেশায় রং মিস্ত্রি রাজু ও তাঁর স্ত্রী গীতা সামর্থ্যমতো নিরামিষ পদে মেনু সাজান। তাতে ছিল
বাড়ির দাওয়ায় পাত পেড়ে বসেন অমিত শাহ। পাশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কলাপাতায় নিজে হাতে খাবার বেড়ে দেন পেশায় রং মিস্ত্রি রাজুর স্ত্রী গীতা। আদ্যন্ত বাঙালি মেনুর স্বাদ পরখ করতে করতে গীতার সঙ্গে কথাও বলেন অমিত শাহ।
নাম না করে এই মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ভোজনরসিক বাবুরা বড় বড় কথা বলছে।
মধ্যাহ্নভোজ সেরে অমিত শাহ যান কাছেই বিজেপির একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য সাধনা মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে বুথ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কয়েকমাস গেলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এই প্রেক্ষিতে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষগুলির মাঝে বসে অমিত শাহ সম্ভবত বার্তা দিতে চাইলেন যে, আমি তোমাদেরই লোক। যদিও, তাতে কতটা কাজ হল, সেটা বোঝা যাবে ভোটের ফলেই।