কলকাতা: দিদির ভাইদের বলছি। এখনই পাল্টে যান, নাহলে পাল্টে দেব। বিজেপি যখন ধরে সহজে ছাড়ে না। পালিশ করে ছেড়ে দেব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন তেতে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি, সেই প্রেক্ষাপটে শনিবার এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এতদিন চ্যালেঞ্জ-পাল্টা চ্যালেঞ্জ চলছিল। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেবারে হুমকির রাস্তায় নেমে পড়লেন তিনি।
দিলীপবাবু এদিন তৃণমূলকে রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে তুলোধনা করেন শাসক দলকে। বলেন, আমি একটা কথা বলে যাই। চমকাবেন না। কাপড়কাচা করে দেব। মুখের জিওগ্রাফি চেঞ্জ করে দেব। হাসপাতালে যাওয়ার দরকার পড়বে না।


দিলীপবাবু এদিন তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করতে গিয়ে কার্যত কোনও রাখঢাকই রাখেননি। কখনও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ছাল ছাড়িয়ে নুন মাখানোর কথাও। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, আমরা মারপিট করি। তাই করলে, দিল্লি গিয়ে এত লাফালাফি করতে পারত? ছাল তুলে নুন মাখিয়ে দিতাম। কখনও আবার উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে বলেন, সিপিএমকে চমকেছেন।আমাদের চমকাবেন না। নাহলে ইউপি-র মতো বান্ডিল করে দেব।

ক’দিন নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খুনের ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শাসক দলের শীর্ষনেতারা। এদিন রীতিমতো কড়া ভাষায় তারও জবাব দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, নিজেরা নিজেরা মারামারি করো। আর মরলে বলে, বিজেপি মারছে। বিজেপি কুকুর-ছাগল মারে না, বাঘ মারে। সব জায়গায় দেখছি, সিউড়ি, নদিয়ায় টিএমসি মারামারি করছে। লড়ো তোমরা। যে ক’টা বাঁচবে, আমরা দেখে নেব।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের আক্রমণের ভাষাকে হাতিয়ার করে পাল্টা সুর চড়িয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উন্মাদের বক্তব্য। ভাবতে কষ্ট হয় এরা শ্যামাপ্রসাদের তৈরি দলের সদস্য।
তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতির আক্রমণকে 'নিষ্ফলা আস্ফালন' ছাড়া আর কিছুই বলতে রাজি নন। তাঁর কটাক্ষ, কচ্ছপ উল্টে দিলে যেমন হাত-পা ছোঁড়ে, দিলীপ ঘোষ তাই করছেন।  শাসক দল ও রাজ্যে বিরোধী রাজনীতিতে দ্রুত প্রভাব, পরিসর বাড়িয়ে চলা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বাকযুদ্ধে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ।