গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করল বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। দুবরাজপুরের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ খুনের মামলায় মূল সাক্ষীর বাড়িতে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল সাহাপুর গ্রাম। গতকাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০টা তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, সাহাপুর সংলগ্ন তুরুপগড়িহাট গ্রামে গতকাল এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।


উল্লেখ্য, একই দিনে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ব্যারাকপুরের আর্দালিবাজারে। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে তিন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে বোমাবাজির ছবি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বোমাবাজির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। 


সম্প্রতি বেলঘরিয়ার এবং তার পর পানিহাটিতে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ১০ জুলাই রাতে দুটি বাইকে চড়ে এসে দুষ্কৃতীরা পানিহাটির বিবিবাগান মোড়ে বিটি রোডের উপর তৃণমূল পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। পরপর তিনটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় খড়দা থানার পুলিশ। কী কারণে হামলা, তদন্ত শুরু করে পুলিশ।


পাশাপাশি ৯ জুলাই নারকেলডাঙার বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন রাত ১০টা নাগাদ ষষ্ঠীতলা রোডের একটি বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়িটি। আতঙ্কিত বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। কী কারণে এই বোমাবাজি তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেগুলি ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।