হুগলি: নবমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন পোর্ট ট্রাস্টের গোলকিপার স্নেহাশিস দাশগুপ্ত। দশমীর সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হল এই প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলারের মৃতদেহ! এই ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির শ্রীরামপুরে।
মৃত ফুটবলারের পরিবারের দাবি, নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি হয় স্নেহাশিসের। এরপর বাড়ি চলে আসেন তিনি।
অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরই বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন যুবক। দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্র স্নেহাশিসকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মিলছিল না প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার স্নেহাশিসের। এরপর শনিবার সকালে রেলের গুদামের কাছে লাইন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। স্নেহাশিসকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। মৃত ফুটবলারের বাবার দাবি, ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। মৃতের পরিবার দাবি করছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে!
অথচ এই প্রেক্ষাপটেই সামনে এসেছে মৃত স্নেহাশিসের একটি ফেসবুক পোস্ট। যাতে স্নেহাশিস লিখেছেন, সবাই আসি। আর এই সমাজে থাকতে ইচ্ছে করে না। ভালবাসা বলে কিছু হয় না। তাহলে কি আত্মহত্যা করেছেন পোর্ট ট্রাস্টের গোলকিপার স্নেহাশিস? কিন্তু, নবমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে যে স্নেহাশিসের হাতাহাতি হয়েছিল, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত এক বন্ধুর আত্মীয়ও।
তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল এই ফুটবলারের? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে জিআরপির অনুমান, ট্রেনে কাটা পড়েই মৃত্যু হয়েছে যুবকের। যদিও, তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর পরিবর্তে সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ।