কলকাতা: সংঘাতের আশঙ্কা থাকলেও প্রথা ভাঙার পথে গেলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সরকারের লেখা ভাষণই হুবহু পাঠ করলেন তিনি। ভাষণ শেষে  বিরোধী নেতাদের সঙ্গে করমর্দন রাজ্যপালের। এরপর অবশ্য প্রথা ভেঙে অধ্যক্ষর ঘরে ঢুকলেন রাজ্যপাল। ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অধ্যক্ষের ঘরে প্রায় আধ ঘণ্টা রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর কথা হল।  এরপর পুষ্পস্তবক দিয়ে রাজ্যপালকে বিদায় জানান মুখ্যমন্ত্রী, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।


রাজ্যপালের ভাষণের সময় এনআরসি, এনপিআর বিরোধী প্রতিবাদ তৃণমূল বিধায়কদের। তাঁরা 'নো এনআরসি', 'নো এনপিআর' ফেট্টি বেঁধে প্রতিবাদ জানান।

আজ বিধানসভায় বেনজির সংঘাতের আশঙ্কা, বাজেট বক্তৃতা-বদলের প্রস্তাব রাজ্যপালের, খারিজ রাজ্যের, সংবিধান মেনেই পদক্ষেপ, জানাল রাজভবন

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত রাজ্যপালের বক্তৃতা অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তে সরকারপক্ষ অটল। অন্যদিকে সেই ভাষণের বাইরে ‘নিজের কথা’ বলতে অনড় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এমনই এক বেনজির পরিস্থিতিতে আজ  শুরু হয় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। ফলে বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তৃতার সময় বেনজির সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই সংঘাতের রেশ দেখা গেল না। বরং বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের আবহেই এই পর্ব সমাপ্ত হল।

বিধানসভায় ভাষণ শেষে ট্যুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। ট্যুইটে তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানের পরম্পরা মেনে বক্তৃতা দিয়েছি।
আশা করি সকলেই সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করবেন।মানুষের সেবা করার এটাই একমাত্র পথ সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা।
গণতন্ত্রের মূল্যবোধ তুলে ধরার পথও সংবিধান রক্ষা'।