ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: নিউ দিঘায় হোটেল মালিক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক কাঠমিস্ত্রি। রামনগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পয়সাকড়ি নিয়ে লেনদেনের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।


টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই কি খুন হতে হল হোটেল মালিককে?  নিউদিঘায় হোটেল মালিক খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে, মঙ্গলবার রাতে, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের ঠিকরা থেকে এক কাঠমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়। 


গত শনিবার সকালে নিউ দিঘায় হোটেল মালিকের রহস্যমৃত্যু হয়। বালিশ চাপা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হোটেলের ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। জানা যায়, বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বছর পঁয়তাল্লিশের সুব্রত। হোটেল কর্মীদের দাবি, সোমবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর তাঁরা বাড়ি চলে যান। আজ ভোরে ডাকাডাকি সত্ত্বেও সাড়া না মেলায় দিঘা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে হোটেল ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর লন্ডভন্ড ছিল। 


পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে হোটেলের কর্মীরা ডাকেন সুব্রত সরকার নামে ওই ব্যক্তিকে। তখন সাড়া না পাওয়ায়, পার্শ্ববর্তী হোটেলের কর্মী সহ ওই হোটেলের কর্মীরা নিউ দিঘা থানায় খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায় ঘর লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলায় দাগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গতকালই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।


পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, দিঘা থানায় খুনের মামলা রুজু হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে জানা যায়, অভিযুক্ত কাঠমিস্ত্রির সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিবাদ ছিল হোটেল মালিকের। তার জেরেই খুন বলে অনুমান। তদন্তে নেমে, খুনের ৩ দিনের মাথায়, অভিযুক্ত কাঠমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।