কলকাতা: রাজ্যের মন্ত্রীদের রেজাল্ট আউট। বিভিন্ন দফতরের কাজের মূল্যায়ন করে রিপোর্ট কার্ড দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, কাজ ও বরাদ্দ অর্থ খরচের নিরিখে ফার্স্ট বয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এক নম্বরে তাঁর সেচ দফতর। দ্বিতীয় স্থানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পঞ্চায়েত দফতর। তৃতীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। চার নম্বরে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। পাঁচে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ৬ নম্বরে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাতে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শুক্রবার, রাজ্যের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে, টাউন হলে রাজ্য স্তরে, বার্ষিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে কয়েকটি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি। মৃদু সমালোচনা করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের।
সূত্রের খবর, আবগারী মন্ত্রী অমিত মিত্রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও কেন বিষমদে মৃত্যু হচ্ছে! প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে। শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, এখনও বহু শিশু বিকাশ কেন্দ্র কেন খোলা আকাশের নীচে চলছে? অবিলম্বে স্থায়ী কেন্দ্র গড়তে হবে।
পূর্ণেন্দু বসুর কৃষি দফতরের সচিব কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সূত্রের খবর, এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আরও বেশি কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনতে হবে।
কারিগরি মন্ত্রী অসীমা পাত্রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দফতরের কাজের অগ্রগতি ঠিক মতো হচ্ছে না। গতি আনতে হবে। সাধন পাণ্ডের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সচিবের থেকে বিজ্ঞাপন খাতে কত খরচ হয়েছে তার হিসেব চান মুখ্যমন্ত্রী।
মোদী সরকারের নোট বাতিলের প্রেক্ষিতে সকল মন্ত্রী ও সচিবদের টাকার অপচয় রোখারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে না পারলে তা যেন ফেরত দেওয়া হয়। এতে লজ্জার কিছু নেই।