হুগলি: ক্লাব থেকে ফেরার পথে, বাড়ির গলির মুখে খুন তৃণমূল পরিচালিত ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়। রাস্তার ওপর তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মুন্না রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভদ্রেশ্বরের জয় ভারত সঙ্ঘ ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পুর চেয়ারম্যানের। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ ক্লাব থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি।
মনোজের বাইক সেখানে ছিল না। প্রথমে তিনি হেঁটে বাড়ি যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু, চিন্টু দুবে নামে মনোজের এই পরিচিত যুবক বলেন, তিনিই নিজের বাইকে মনোজকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য চিন্টুর বাইকে চড়েই সেখান থেকে রওনা দেন মনোজ। চিন্টুর দাবি, মনোজের বাড়ির একেবারে কাছে হঠাৎ জনা পনেরো যুবক তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়ান। একজন মনোজকে ভাইয়া বলে ডাকেন।
কেউ সমস্যার কথা বলতে এসেছেন, ভেবে বাইক থেকে নামেন পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ। কিন্তু, দুষ্কৃতীরা কোনও কথা না বলে তাঁকে মারধর শুরু করে দেয়। চিন্টু দুবে বলেন, ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়। আমি ছুটলাম বাকি লোকেদের ডাকতে। তার মধ্যে হয়ে গেল।
চিন্টুর দাবি, তিনি লোকজন নিয়ে ফিরে গিয়ে দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে মনোজ উপাধ্যায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেরর ভিত্তিতে পুলিশের দাবি, মনোজকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ গুলি চালিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
একটি গুলি বাঁ দিকের পাঁজর দিয়ে ঢুকে ফুসফুসের কাছে পৌঁছে যায়। একটি গুলি লাগে মাথার ডানদিকে। একটি ডান হাতে কনুইয়ের ওপরে। এই কাজে সেভেন এমএম পিস্তল এবং ওয়ান শটার ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
হুগলি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তর দাবি, সুপারি কিলার কাজে লাগানো হয়েছে। পাতালে লুকিয়ে থাকলেও খুঁজে বার করতে বলেছি। খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মুন্না রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের ঠিক আগের মুহূর্তে যাঁরা তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রধানকে ডেকে দাঁড় করিয়েছিলেন, তারমধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মুন্না। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।