ভাঙড়: ভাঙড়কাণ্ডে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেদিন পুলিশের পোশাকে এসে গুলি চালিয়েছিল বহিরাগতরাই। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই গ্রামবাসীর। পুলিশ জানায়, তারা গুলি চালায়নি। এই পরিস্থিততে গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কে বা কারা গুলি চালাল, কারা তাদের গ্রামে পাঠাল, তা খতিয়ে দেখা হোক। এরজন্যে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তারা।


এদিকে শ্যামনগর গ্রামের রাস্তায় এখনও লেগে রয়েছে মফিজুল খানের রক্তের দাগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেদিন সাদা রঙের গাড়িতে চড়ে এসে পুলিশের পোশাকে কয়েকজন নির্দিষ্টভাবে মফিজুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত মফিজুলকে তারা গাড়িতে টেনে তোলারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এমনকি, রাতের বেলা হামলাকারীরা রেইকি করতে এসেছিল বলেও দাবি গ্রামবাসীদের।

এদিকে ভাঙড়ে এবার বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করল আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, গতকাল রাত ৯টার পরে কাপড়ে মুখ ঢেকে, সশস্ত্র বাইক বাহিনী ভাঙড়ে ঢুকে বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোমা-বন্দুক নিয়ে ভয় দেখায় ও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

এরপরই ২০-২৫টি গ্রামের কয়েকহাজার মানুষ রাত পাহারা দিতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করার চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁরা আপাতত আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না।