সমীরণ পাল ও পূর্ণেন্দু সিংহ: ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা বাঁকুড়া শহরে। একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ও বনগাঁতেও। আমডাঙায় ভ্যাকসিনের লাইনে দাড়িয়ে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। তার উপরে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এহেন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশনের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। সেই ভ্যাকসিন পেতেই কালঘাম ছুটছে। ভ্যাকসিন পেতে চূড়ান্ত হয়রানির ছবি জেলায় জেলায়। ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গ্রাহকদের বচসা, ধাক্কাধাক্কি। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেউ কেউ। বাঁকুড়া শহরে এক ভ্যাকসিন গ্রাহক বলেন, অন্তত ৩০০ জনকে তো দেওয়া হবে। রেডক্রস সোসাইটির কর্মী জানান, “আজ ১৫০ জনের হয়েছে, আর ১০০ জনকে দেওয়া হবে, এর বাইরে একটাও হবে না, আপনারা বসে থাকতে পারেন।“ এই ঘোষণা হতেই শনিবার সকালে, তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়া শহরের এই ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে।
কেন সবাই ভ্যাকসিন পাবেন না? এই প্রশ্ন তোলেন ভ্যাকসিন গ্রাহকরা। টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গেও। শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল। আর এই পরিস্থিতিতে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার রাজ্যে ২ লক্ষ ৬৩ হাজারের ওপর মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালেও। সকাল থেকেই সেন্টারের সামনে মানুষের থিকথিকে ভিড়। ভ্যাকসিন পেতে হুড়োহুড়ি অবস্থা। ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন মহিলা। বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ে বনগাঁ হাসপাতালেও। ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা সামাল দেয় বনগাঁ থানার পুলিশ।