কলকাতা ও জলপাইগুড়ি: বিজেপি নেত্রী জুহি একা নন। জলপাইগুড়ির হোমের কর্ণধারকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন তাঁর বাবাও। নিজেই সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য দফতরে এসে বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জুহির বাবা তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। দাবি করেন, তাঁর মেয়ে নির্দোষ।
জলপাইগুড়ির শিশুপাচার চক্রে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরীর। সিআইডি সূত্রে দাবি, হোমের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ ও অনুদান আদায়ের জন্য কর্ণধার চন্দনাকে নিয়ে একাধিকবার দিল্লি যান জুহি। তবে তিনি একাই যে এই কাজ করেছিলেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী নিজেই স্বীকার করেছেন যে, চন্দনাকে নিয়ে তিনিও দিল্লিতে গিয়েছেন।
তাঁর এই দিল্লি যাত্রার টিকিট কেটেছিল কে? উত্তরে জুহির বাবার জানান, হোমের লোকেরা কেটেছে। সিআইডি যখন জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরীকে খুঁজছে, তখন তাঁর বাবা , বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য দফতরে আসেন।
সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জুহির বাবা। তারপর চলে যান দফতরের পিছনের দিকের একটি ঘরে। সংবাদমাধ্যম তাঁর প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পরে অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে বাইরে বেরিয়ে জুহির বাবা দাবি করেন, তাঁর মেয়ে নির্দোষ। বলেন, আমি কিছু জানি না। আমি নির্দোষ। সিআইডি সূত্রে দাবি, জুহি চৌধুরীর মোবাইল ফোন টানা সুইচড অফ থাকলেও, তারা জানতে পেরেছে, কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে জুহি যোগাযোগ রেখে চলেছেন। মঙ্গলবার জুহিদের জলপাইগুড়ির বাড়িতেও গিয়েছিলাম আমরা। সেখানেও কেউ কিছু বলতে চাননি।
মঙ্গলবার শিশুপাচারকাণ্ডে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গী সোনালিকে সিআইডি-র বিশেষ দল শিলিগুড়ি নিয়ে যায়। চন্দনার হোম আশ্রয় বন্ধের দাবিতে সকালে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।