কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে আজ আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিলেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। গত ১৩ অগাস্ট প্রাক্তন সভাপতি মহুয়া দাসকে সরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নতুন সভাপতি সল্টলেকে বিদ্যাসাগর ভবনে আসেন। প্রাক্তন সভাপতি মহুয়া দাস তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। 


উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বিতর্কের জেরে শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হন মহুয়া দাস।। মহুয়া দাসের জায়গার নতুন সভাপতি করা হয় চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।  চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য। তাঁর কাছে নিয়োগপত্রও পৌঁছে যায় সেদিনই।  যদিও সরকারি সূত্রের বক্তব্য ছিল, এটি রুটিন বদলি।


উচ্চ মাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের ধর্ম পরিচয় উল্লেখ প্রসঙ্গেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়া দাসে ব্যাখ্যা ছিল, নেহাত আবেগের বশে কথাগুলো বলেছিলেন, অন্য কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না । 


তাঁর আরও ব্যাখ্যা, 'সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম ভাল রেজাল্ট কেউ করেছে। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভাল এবং সাধারণ ঘরানা থেকে উঠে এসেছিলেন। সেই ভিত্তিতে সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর সময় তাঁদের বুঝতে সুবিধার জন্য তথ্য হিসেবে বিষয়টা উল্লেখ করেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই ওভাবে কথাগুলো বলেছিলাম।' 


২২ জুলাই ফলাফল প্রকাশের সময় মহুয়া দাস বলেছিলেন, 'যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, একা। এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কোনও র্যাঙ্ক বলছি না, সর্বোচ্চ নম্বর। সর্বোচ্চ নম্বর এককভাবে পেয়েছেন একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম লেডি, গার্ল। তিনি এককভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।' আর তাঁর যে বক্তব্য নিয়েই শুরু হয় ব্যাপক জলঘোলা। ইচ্ছাকৃত ধর্ম পরিচয় দিয়ে আখেরে ছাত্রীকে তিনি হেঁয় করতে চেয়েছেন বলেও একপক্ষ অভিযোগ শানায়। দাবি করে পদত্যাগেরও।