কলকাতা: সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, বাঁকুড়ার দু’টি থানা এলাকায় একদিনে প্রায় ২ হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ নিলেন কীভাবে? ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের জন্য এত তাড়াহুড়ো কীসের?

একই সঙ্গে হাইকোর্টের প্রশ্ন, অনেক ক্ষেত্রে সবরকম শর্ত পূরণ না হলেও নিয়োগ করা হয়েছে। নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হয়নি। এটা কি বেনিয়ম নয়?

জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন,সব নিয়ম মেনেই নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।

সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন বাঁকুড়ার কয়েকজন যুবক।

এরপর বাঁকুড়ার দু’টি থানার ৩২০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাকি সব থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ ৩১ ডিসেম্বরের পরে বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সেই মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়। আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সরকারের তরফেও একটি মামলা দায়ের হয়।

এই দুই মামলা যুক্ত করে শুনানি চলছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।